২৫শে ফাল্গুন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৫৬৭ বুদ্ধাব্দ
১০ই মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ, সোমবার

নমো বুদ্ধায়

প্রতিষ্ঠাতা

home2bg.png
সম্পর্কিত

ভদন্ত প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু

তিনি ১৯৮৬ সালের ৫ নভেম্বর কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মেরংলোয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রতন বড়ুয়া এবং মায়ের নাম মল্লিকা বড়ুয়া। ১৯৯৭ সালে ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রব্রজ্যাধর্মে (বৌদ্ধ ভিক্ষুর জীবন গ্রহণের পূর্বে শিক্ষানবিশ কালীন সময়) দীক্ষিত হন। নিজ গ্রামের রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের পূজনীয় অধ্যক্ষ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশী বৌদ্ধদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান সংঘপুরোধা, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাবেক সভাপতি, ত্রিপিটক শাস্ত্রজ্ঞ, মাননীয় উপসংঘরাজ, বিনয়াচার্য পণ্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের মহোদয়ের কাছে প্রব্রজ্যাধর্ম তথা শ্রামণ্যধর্ম গ্রহণ করেন। শ্রামণ্য জীবনে দীর্ঘ সময় ধরে গুরুর অধীনে থেকে ধর্ম-বিনয় শিক্ষা করে পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৮ মার্চ একই গুরুর উপাধ্যায়াত্বে তিনি পবিত্র ভিক্ষুধর্ম গ্রহণ করেন। আচার্য ও উপাধ্যায় গুরু পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের তার নাম রাখেন প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু।
অনুশীলন

প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষুর প্রোগ্রাম

ধর্ম প্রচার

শক্তিশালী শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল এবং জ্ঞান যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে। ব্যবহারিক জ্ঞান দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করুন।

অনুষ্ঠান

গভীর অভ্যন্তরীণ শান্তি অনুভব করুন – সমাধির অবস্থা। স্ব-সচেতনতা, স্বচ্ছতা এবং সৃজনশীলতা বাড়ান।

ধর্মীয় নৈতিক শিক্ষা দান

শক্তিশালী শ্বাস-প্রশ্বাসের কৌশল এবং জ্ঞান যা আপনার জীবনকে বদলে দেবে। ব্যবহারিক জ্ঞান দিয়ে নিজেকে সজ্জিত করুন।

মানবিক কাজ

আপনার সাধারণত সক্রিয় মনের বাইরে যান এবং শান্তির একটি অসাধারণ অনুভূতি অনুভব করুন।

তিনি ১৯৮৬ সালের ৫ নভেম্বর কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন ফতেখাঁরকুল ইউনিয়নের ঐতিহ্যবাহী মেরংলোয়া গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতার নাম রতন বড়ুয়া এবং মায়ের নাম মল্লিকা বড়ুয়া। ১৯৯৭ সালে ছোটবেলা থেকেই তিনি প্রব্রজ্যাধর্মে (বৌদ্ধ ভিক্ষুর জীবন গ্রহণের পূর্বে শিক্ষানবিশ কালীন সময়) দীক্ষিত হন। নিজ গ্রামের রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহারের পূজনীয় অধ্যক্ষ, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কতৃক একুশে পদকপ্রাপ্ত, বাংলাদেশী বৌদ্ধদের তৃতীয় সর্বোচ্চ ধর্মীয়গুরু, আন্তর্জাতিক খ্যাতিমান সংঘপুরোধা, বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সাবেক সভাপতি, ত্রিপিটক শাস্ত্রজ্ঞ, মাননীয় উপসংঘরাজ, বিনয়াচার্য পণ্ডিত ভদন্ত সত্যপ্রিয় মহাথের মহোদয়ের কাছে প্রব্রজ্যাধর্ম তথা শ্রামণ্যধর্ম গ্রহণ করেন। শ্রামণ্য জীবনে দীর্ঘ সময় ধরে গুরুর অধীনে থেকে ধর্ম-বিনয় শিক্ষা করে পরবর্তীতে ২০১২ সালের ৮ মার্চ একই গুরুর উপাধ্যায়াত্বে তিনি পবিত্র ভিক্ষুধর্ম গ্রহণ করেন। আচার্য ও উপাধ্যায় গুরু পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথের তার নাম রাখেন প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু। 

উল্লেখ্য, প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু শ্রামণ্য কাল থেকেই সমাজের পিছিয়ে থাকা, অসহায়, নিপীড়িত, নির্যাতিত এবং অধিকার বঞ্চিত মানুষদের জন্য কাজ করে আসছেন। একইসাথে তিনি স্থানীয় এবং জাতীয় পত্র-পত্রিকাতে লেখালেখি করে দেশে-বিদেশে পরিচিতি লাভ করেন। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সভা, সেমিনার, গোলটেবিল বৈঠক, টকশোতে অংশগ্রহণ করে এলাকা তথা রাষ্ট্রের উন্নয়ন, প্রগতি, শান্তি ও সম্প্রীতির পক্ষে কথা বলেন। 

কমিউনিটি পর্যায়ে তিনি সমাজের তৃণমূলের মানুষদের সঙ্গে নিরবচ্ছিন্ন যোগাযোগ রক্ষা করে চলেন এবং সামাজিক নিরাপত্তা, ভূমির সুরক্ষা, নাগরিক অধিকার আদায়ে বরাবরই সোচ্চার ভূমিকা পালন করেন । তাছাড়াও তিনি এলাকায় শিক্ষা বিস্তার, সামাজিক ঐক্য গঠন এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।      

পরিবারের একমাত্র পুত্রসন্তান, সংসার ত্যাগী , আবাল্য ব্রহ্মচারী প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু সংসারের লোভ, লালসা, ভোগ-বিলাস পরিত্যাগ করে মানুষের কল্যাণের জন্য অবিরাম কাজ করে মানবসেবাকে আজীবন ব্রত হিসেবে গ্রহণ করেছেন।